... (several lines of code) ...

বঙ্গবন্ধুর ও মহিউদ্দীন আহমেদ’র বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবউদ্দীন খানের নাম মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে নেই

bangladesh , south asia desk :
  • Update Time : Thursday, December 19, 2019
  • 982 Time View

বঙ্গবন্ধুর ও মহিউদ্দীন আহমেদ’ র বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবউদ্দীন খানের নাম মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে নেই।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং বাকশালের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন আহমেদ’র বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবউদ্দীন খানের নাম এখনও সরকারি মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে প্রকাশ করা হয়নি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

উল্লেখ্য যে, জনাব সাহাবউদ্দীন খান, বঙ্গবন্ধু ও মহিউদ্দীন আহমেদ ত্রিশ দশকে একই সাথে রাজনীতি করতেন সমসাময়িক বড় হয়েছেন জন্ম ২১ সাল মহিউদ্দিন আহমেদ’র ২৫ এবং জাতির জনকের ২০ একই সাথে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ  সময় অতিবাহিত করেছেন।

দক্ষিণ অঞ্চলে এই তিন জন ও মানিক মিয়া সাহেব খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। জনাব খান ১৯৭১ সালে তৎকালীন ভান্ডারিয়া-কাঠালিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদেরকে এবং হিন্দুদেরকে রক্ষার জন্য পাকিস্তান সেনাবহিনীকে হুমকি দিয়েছিল এবং কাঠালিয়া সদরে ব্যাপক মাত্রায় রাজাকার থাকা সত্তে¡ও কোন হিন্দুকে হত্যা করতে পারেনি এবং তাদের কোন ঘরকে আগুন দিয়ে জালিয়ে দিতে পারেনি। জনাব সাহাব উদ্দীন খান নিজে গোপনে মক্তিযোদ্ধাদের কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তার দুই ছেলেকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়ে ও নিজে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে থেকে বাংলাদেশ স্বাধীনে এক অবিস্মরনীয় ভূমিকা পালন করেছেন যা চিরকাল স্বর্নাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। জনাব খানের দুই ছেলে নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আজও তার নাম মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে স্থান পায়নি। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেই প্রথমেই তার সকল বন্ধুবান্ধবের খোজ খবর নিয়েছিলেন। কে কি অবস্থায় আছেন তা জানার জন্য এবং সকল বন্ধুদেরকে ডাকযোগে মানি ওর্ডার করে নগদ টাকা পাঠিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার বন্ধু সাহাব উদ্দীন খান’কে ১৯৭২ সালে ৬০,০০০/- (ষাট হাজার টাকা) পাঠিয়েছিলেন পিরজপুরের এনায়েত খার মাধ্যমে,  যুদ্ধে যারা ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছিল তারা সারা বাংলাদেশেই পেয়েছিল    যা পরবর্তীতে জনাব খান উক্ত ৬০,০০০/- (ষাট হাজার টাকা) বাংলাদেশের উন্নয়নের কাজে ব্যবহারের জন্য সরকারকে  উক্ত টাকা ফেরত প্রদান করেছিলেন যা আরেকটি দেশ প্রেমের অতুলনীয় নজির স্থাপন করেন কিন্তু কি কারনে কি জন্য সরকার এখনও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দীন খানের নাম মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে লিপিবদ্ধ করেনি তা বোধগম্য নয়। জনাব সাহাব উদ্দীন খানের কনিষ্ঠ পুত্র সাবেক সিনিয়র এ্যাডভাইজার “দি ডেইলী বাংলাদেশ পোষ্টের জুসফিকুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে আমার বাবার নাম এখনও লিপিবদ্ধ করেনি যা খুবই দুঃখজনক। বঙ্গবন্ধুর বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মক্তিযোদ্ধা, হিন্দুদের রক্ষাকারী আমার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে সরকার এখনও লিপিবদ্ধ করেনি যা বিশ্বাস করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে এটা কি করে সম্ভব?

আমার প্রত্যাশা অতি দ্রত আমার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে লিপিবদ্ধ হোক না হলে দেশ ও জাতি আমাদেরকে কখনই ক্ষমা করবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category