লাইভ আপডেট : বাংলাদেশে গনঅভ্যুত্থান শুরু হলো
আওয়ামী লীগ এবং ভারতের নির্দেশে বাংলাদেশ পুলিশ ইতিমধ্যই গণঅভ্যুত্থান ঠেকানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছে এবং সেই অনুযায়ী হঠাৎ গণঅভ্যুত্থান কে ঠেকানোর জন্য হঠাৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কিন্তু এই পরিকল্পনা হঠাৎ বৃষ্টির মতই ব্যর্থ হয়ে যাবে কারন এটার ভিতর তাদের কোনো শক্তি নেই। আওয়ামীলীগের নির্দেশিত সকল সংস্থা এখন ফাঁকা বুলি এবং ভুয়া হয়ে গেছে তাদের কোনো কথা এবং কাজের ভিতর কোন শক্তি নেই সকল শক্তি এবং ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। বিরোধী দল সকল শক্তি পেয়েছে কারণ ন্যায় এবং সত্যের শক্তি তাদের উপরেই। সেই শক্তি তাদের উপরে বিরাজমান যা দিয়ে তারা কথা বলে এই সকল কাজ করে তারা সেই শক্তিবলে সংগঠিত।
অপর পক্ষে আওয়ামী লীগ মন্ত্রী পরিষদ এবং ভারত ও তাদের সাহায্য পুষ্ট ব্যক্তি সংস্থা অসত্য অন্যায়ের পথে হওয়ার কারণে তাদের শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তাদের পরাজয় হয়ে গেছে। আর বিরোধী দলের বিজয় এসেছে। যে কোন যুদ্ধের মেইন হচ্ছে- শক্তি। ১. মানসিক ২. শারিরিক. আওয়ামীলীগ এবং ভারতের আর তাদের সকল দালালদের এই দুই শক্তি শেষ। ফলে তাদের যে কোনো উদ্যোগ পরিকল্পনা উদ্দেশ্য লক্ষ্য এবং কাজ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বাধ্য কারণ তার ভিতরে সত্যর কোন শক্তি নেই। আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে, মিথ্যার কখনো শক্তি নাই এবং শক্তি হয় না। একমাত্র শক্তি সত্যর। তাই আল্লাহ পাক, কুরআনে বলেছেন, কুল জা আল হক আজাহাকাল বাতিল ইন্নাল বাতিলা কানা যাহুক এর বাংলা অর্থ হচ্ছে সত্য এসেছে মিথ্যা বিদায় নিয়েছে নিশ্চয়ই মিথ্যা বিদায় নেওয়ার যোগ্য।
গণঅভ্যুত্থান ঠেকানোর জন্য পুলিশ প্রাথমিক অবস্থায় মারমুখী আচরণ দেখানোর চেষ্টা করবে কিন্তু যখন দেখবে জনসাধারণের সংখ্যা বেশি তখন পুলিশ কেটে পড়বে। এবং বিরোধীদল হালকা কিছু কৌশল অবলম্বন করলে পুলিশ আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে। সেই কৌশলটা হচ্ছে যখনই পুলিশ সম্মুখের দিকে আসে ঠিক তখনই ওই পুলিশের পিছন থেকে দশ হাজার লোক হাজির হয়ে যাবে। সাথে সাথে পুলিশরা সেখান থেকে বাঁচার জন্য পালানোর চেষ্টা করবে এভাবে সকল স্পেইস জায়গাগুলো দখলে নিয়ে পুলিশের কিছু করণীয় নাই। তবে সকল বিরোধী দলকে মনে রাখতে হবে পুলিশ যখন ২ জনগণের কেচকির ভিতরে আটকা পড়ে যাবে তখন তাদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে যাতে তাদের কোন ধরনের ক্ষতি না হয়।
বিরোধীদল এভাবেই রাজধানীর সকল স্পেস দখল করলেই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়ে যাবে বাংলাদেশ পুলিশ কিছুই করতে পারবেনা মনে রাখবেন, পুলিশ তার পেটের জন্য চাকরি করে আপনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে না চাকুরীতে যাচ্ছে কাজেই তাদের সকল অধিকার নিশ্চিত করতে হবে এবং গণঅভ্যুত্থান সফল করতে হবে।
বিরোধী দলের ভিতরে বিশেষ করে বিএনপি কর্মীদের কে হত্যা করার কারণে তাদের ভিতর গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবের স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয়েছে। তারা এখন যেকোন সময় এই বিপ্লবের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান সফল করবে। আওয়ামী লীগ এবং ভারত অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে এখনই তা বাংলাদেশ পুলিশকে বলির পাঠা বানানোর জন্য রাস্তায় নামিয়েছে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ জনগণের উপস্থিতি বাংলাদেশ পুলিশ সামাল দিতে না পেরে তারা রাজপথ থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নেবে।
বাংলাদেশ পুলিশ যদি বিপ্লবীদের দ্বারা আক্রান্ত না হয়ে জনগণের সমুদ্রের মধ্যে পড়ে যায় তখন তারা শুধু আশ্চর্যই হবে না সারপ্রাইজ পাবে। এরকম অবস্থায় বাংলাদেশ পুলিশ কী ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করবে তা বোঝা যাচ্ছে না তবে এতে যে কোনো পরিকল্পনাই আর কাজ হবে না সেটা নিশ্চিত। আর এতে করে বিপ্লবীদের হাতে বাংলাদেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখল হয়ে যাবে। বিরোধী দলের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ এবং ভারত যুদ্ধের দিকে যাবে না। এরকম কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই ফলে পুলিশের একটু তাফালিং ছাড়া আর কিছুই বিরোধীদলের সম্মুখে নেই।
বিরোধী দলেরা উপরের কৌশল অবলম্বন করলেই বাংলাদেশ পুলিশ আগেই বিরোধীদলের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে।